রাজীবপুর উপজেলার চররাজীবপুর গ্রামে ছেলের অনুপস্থিতিতে শ্বশুর ফয়জুর রহমান তালুকদার ছেলের বউকে নানাভাবে উত্যক্তের এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা চত্বরে প্রকাশ্যে ফয়জুর রহমান তালুকদার নামে এক শ্বশুরকে গণধোলাই দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিজের ছেলের বউকে উত্যক্ত এবং জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মেয়ের স্বজনরা তাকে গণধোলাই দেয়। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি উপস্থিত হয়ে জনরোষ থেকে রক্ষা করে বখাটে ওই শ্বশুরকে। বখাটে শ্বশুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে থাকার কারণে বিষয়টি সারা এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, রাজীবপুর উপজেলার চররাজীবপুর গ্রামের ফয়জুর রহমান তালুকদার তার পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৮ মাস আগে বিয়ে করান একই উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদ মন্ডলের মেয়ের সঙ্গে। বিয়ের তিন মাসের মাথায় ছেলের অনুপস্থিতিতে শ্বশুর ফয়জুর রহমান তালুকদার ছেলের বউকে নানাভাবে উত্যক্তের এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানির পর মেয়ের পরিবার তাদের মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর মেয়েকে নিয়ে অশ্লীল সব তথ্য ফেসবুকে প্রকাশ করে।
এসব বিষয়ে নিয়ে মেয়ের পরিবারে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর এক পর্যায়ে আজ মঙ্গলবার শ্বশুর ফয়জুর উপজেলা চত্বরে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে এলোপাথারিভাবে কিলঘুষি মারতে থাকে ২০/৩০ জনের এক দল।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফয়জুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘ তাদের লোকজন অন্যায়ভাবে আমাকে মেরেছে। তাদের অভিযোগ সত্য নয়।’এ ব্যাপারে রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি কিন্তু থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।